যদি কেউ এই বলে প্রশ্ন করে যে, ভাই! দৃষ্টির হেফাযত তেমন বড় কোনো কাজ নয় তাহলে এত বড় প্রতিদান কেন? আসি সেই বন্ধুকে বলব, দৃষ্টি সংরক্ষণকারীকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন, দৃষ্টি হেফাযতের সময় তার মনের অবস্থা কেমন হয়।
আরেক বন্ধু জানতে চাইল, নযর হেফাযতের উপর ঈমানের মিষ্টতা পাওয়ারমত বড় অঙ্গীকার কেন? আমি তাকে বললাম, যেহেতু নযর হেফাযত করতে গিয়ে দুঃখ-কষ্ট অন্তরকেই সহ্য করতে হয়। আর এটা সবারই জানা যে, শরীরের মাঝে অন্তরই হলো বাদশাহ। কোনো বাদশাহ যদি আপনার এখানে শ্রম দেয় তাহলে আপনি কি তাকে বেশি পারিশ্রমিক দিবেন না? আল্লাহ পাকও অন্তরের পারিশ্রমিক অধিক দিয়ে থাকেন। কেননা অন্তর হলো শরীরের প্রধান নিয়ন্ত্রক ও বাদশাহ।
সুতরাং অন্তর যখই দু:খ-কষ্ট বরদাশত করে মাওলাকে খুশি করে তখন অবশ্যই আল্লাহ পাক তাকে ঈমানের মিষ্টতা ও স্বাদ আস্বাদন করান অর্থাৎ তাকে মুহাব্বতে এলাহী দান করেন এবং মরণশীলদের ভালবাসা থেকে মুক্তি দান করেন।
আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও আজমত বিদ্যমান হওয়ার নিদর্শন
যখন আল্লাহ তায়ালার শ্রেষ্ঠত্ব ও কিয়ামত দিবসের প্রশ্নোত্তর পর্বের ভয় বান্দার অন্তরে স্থান করে নেয়, তখন দুনিয়াবাসীদের নিন্দা ও ধিক্কারকে সে পরোয়া করে না।
এক ব্যক্তি এক মুষ্টি দাঁড়ি রেখে হযরত হাকীমুল উম্মত থানভী (রহ.) এর কাছে পত্র লিখলেন, হযরত! দাঁড়ি রাখতে শুরু করার পর থেকে বন্ধু-বান্ধবরা খুব ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে। উত্তরে থানভী রহ. লিখলেন, তোমার বন্ধুদেরকে হাসতে দাও তাহলে কিয়ামত দিবসে মোতাকে কাঁদতে হবে না।
অন্য এক সঙ্গীকে তিনি এমন উত্তর দিয়েছেন যে, লোকদের ঠাট্টা-বিদ্রুফকে ভয় পাও কেন? তুমি কি পুরুষ নও? না তুমি স্ত্রী লোক। পুরুষ হয়ে ভয় পাচ্ছ? তাদেরকে খুব হাসতে দাও।
নযর হেফাযতের ফলে ঈমানী মৃত্যু