হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা (সাঃ) এর মহান বংশ সমগ্র পৃথিবীর অন্য সকল বংশ হতে অধিক সম্ভ্রান্ত ও মর্যাদাশীল।(১) এটি এমন এক বাস্তব সত্য, যা মক্কার কাফের এবং নবী করীম (সাঃ) এর চরম শত্রুরাও অস্বীকার করতে পারেনি। হযরত আবূ সুফিয়ান (রা.) ইসলাম গ্রহণের পূর্বে রোম-সম্রাটের নিকট এ সত্য কথাটি স্বীকার করেছিলেন। অথচ তখন তিনি মনে মনে চাচ্ছিলেন, যদি কোনো সুযোগ পাওয়া যায়, তাহলে বাসূলে আকরাম (সাঃ) এর উপর কোনো না কোনো দোষ তিনি চাপাবেন।
পিতার দিক থেকে বংশধারা:
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বংশ ধারা পিতার দিক থেকে এরূপ, তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ, তাঁর পিতা আবদুল মুত্তালিব, তাঁর পিতা হাশিম, তাঁর পিতা আবদ্ মানাফ, তাঁর পিতা কুসাই, তাঁর পিতা কিলাব, তাঁর পিতা মুররাহ, তাঁর পিতা কা’ব, তাঁর পিতা লুওয়াই, তাঁর পিতা গালিব, তাঁর পিতা ফিহির, তাঁর পিতা মালিক, তাঁর পিতা নাযার, তাঁর পিতা কিনানাহ, তাঁর পিতা খুযায়মাহ, তাঁর পিতা মুদরিকাহ, তাঁর পিতা ইলইয়াস, তাঁর পিতা মুদ্বার, তাঁর পিতা নিযার, তাঁর পিতা মাআদ এবং তাঁর পিতা আদনান।
এ পর্যন্ত রাসুর (সাঃ) এর বংশানুক্রম সর্বসম্মতভাবে স্বীকৃত ও প্রমাণিত। এর ঊর্ধ্বে হযরত আদম (আ.) পর্যন্ত বংশধারায় যথেষ্ট মতপার্থক্য রয়েছে। তাই সে আলোচনা বাদ দেওয়া হয় ও উল্লেখ করা হয় না।
মায়ের দিক থেকে বংশধারা:
রাসূলে মাকবুল (সাঃ) এর বংশধারা মায়ের দিন এরূপ- মুহাম্মাদ (সাঃ) তাঁর মাতা আমিনা, তাঁর পিতা ওয়াহাব, তাঁর পিতা আবদ্ মানাফ, তাঁর পিতা যুহরাহ, তাঁর পিতা কিলাব (তাঁর পিতা মুররাহ।)।
উপরে বর্ণিত উভয় বংশধারা হতে একথা সুস্পষ্টভাবে জানা গেল যে, কিলাব ইবনে মুররাহ পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন থাকার পর উভয় বংশধারা একত্র হয়ে গেছে।
১. ‘দালায়িলে আভু নাঈম’ নামক গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, হযরত জিবরাঈল (আ.) বলেছেন, আমি পৃথিবীর পূর্ব প্রান্ত হতে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত (অর্থাৎ সমগ্র বিশ্ব) ঘুরে দেখেছি। কিন্তু হাশিম গোত্রের চেয়ে উত্তম কোনো বংশ কোথাও দেখিনি। -[মাওয়াহিবে লাদুন্নিয়্যাহ]