রাসূলে করীম (সাঃ) কে হত্যার প্রচেষ্টা এবং তাঁর প্রকাশ্য মু’জিযা

একবার হুযূরে আকরাম (সাঃ) কা’বা শরীফের পাশে নামাজ পড়ছিলেন। যখন তিঁনি সেজদায় গেলেন, তখন আবূ জাহেল এ সুযোগটিকে বড় লাভজনক মনে করল। সে নবী করীম (সাঃ) এর পবিত্র মাথা মোবারকে পাথ ছুঁড়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ করার ইচ্ছা করল। কিন্তু-

دشمن اگرقوی ست نگہبان قوی ترست

দুশমনের শক্তি দেখে ভয় পেয়ো না জেনো

তোমার আল্লাহ আরো অধিক শক্তি রাখেন মেনো।

সে পাথর নিয়ে হুযূর আকরাম (সাঃ) এর যতই নিকট আসতে থাকে, তার হাত ততই কাঁপতে থাকে। হাত থেকে পাথরটি পড়ে যায়, চেহারা বিবর্ণ হয়ে যায়, দৌড়ে নিজের দলের লোকদের নিকট চলে আসে এবং বলতে থাকে, “আমি তাঁর মাথার দিকে হাত বাড়ানোর ইচ্ছা করেছি, এমন সময় দেখি, এক ভীষণ আকৃতির ‍উট মুখ খুলে হা করে আমার দিকে দৌড়ে আসল এবং আমাকে খেয়ে ফেলতে উদ্যত হলো। আমি এমন উট আজ পর্যন্ত কখনো দেখিনি!”

এটা এমন এক ঘটনা, যা কাফেরদের জমায়েতে সবার সামনে ঘটেছিল এবং কাফেরদের নেতা আবূ জাহেল নিজে তা স্বীকার করেছিল।

আবূ জাহেল, উকবা ইবনে আবি মুআইত, আবূ লাহাব, আস ইবনে ওয়ায়েল, আসওয়াদ ইবনে আবদে ইয়াগুছ, আসওয়াদ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব, ওয়ালিদ ইবনে মুগীরা, নাযার ইবনে হারিছ-এ লোকগুলো সব সময় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে কষ্ট দেওয়ার জন্য পেছনে লেগে থাকত। এদের কারোরই ইসলাম গ্রহণের সৌভাগ্য হয়নি; বরং তাদের সকলেই অত্যন্ত অপমাণিত ও লাঞ্ছিত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে, কেউ বদরের যুদ্ধে তরবারির আঘাতে, আর কেউ নোংরা ও দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে পঁচে-গলে মরেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: দয়া করে কপি করা থেকে বিরত থাকুন, ধন্যবাদ।