মানুষের মাঝে ঘৃণা ছড়ানো এবং তার উল্টোফল

যখন কুরাইশরা দেখতে পেল যে, বনূ হাশিম এবং বনূ আব্দুল মুত্তালিব গোত্র দুটি নবী করীম (সাঃ) এর সাথে রয়েছে, আবার এদিকে হজের মৌসুমও নিকটে চলে এসেছে,(১) এ মৌসুমে রাসূলে মাকবূল (সাঃ) দ্বীনের প্রচারে নিশ্চয় খুব জোর প্রচেষ্টা চালাবেন আর নবীজীর সত্য ভাষণে যে চৌম্বক আকর্ষণ রয়েছে, সে বিষয়েও সকলেরই জানা, তাই তাদের মনে তখন খুবই আশঙ্কা দেখা দিল , এবার হয়তো তাঁর ধর্ম পৃথিবীর সকল প্রান্তে ছড়িয়ে পড়বে। কাজেই তারা সবাই একত্রিত হয়ে পরামর্শ করে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল যে, মক্কার সবগুলো রাস্তায় নিজেদের লোকজনকে বসিয়ে দেওয়া হবে। তাহলে বহির্বিশ্ব থেকে যে লোকজন হজ্ব করতে আসবে, তাদেরকে দূরে থাকতেই একথা বলে দেওয়া যাবে যে, এখানে এক জাদুকর রয়েছে। সে তার কথা দ্বারা পিতা-পুত্রে, স্বামী-স্ত্রীতে এবং সকল আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে বিরোধ এবং বিভেদ সৃষ্টি করে। তোমরা কেউ তার নিকটে যেয়ো না। কিন্তু

چراغےراکہ ایزدبرفروزد
کسے کش تف زندریشش بسوزد

আল্লাহ তা’আলার আদেশে

যে বাতিটা জ্বলেছে

যেজন তারে নেভাতে চায়

তারা দাড়িয়ে শুধু পুড়েছ

আল্লাহর মহিমা! তাদের এ কর্মপন্থা নবী করীম (সাঃ) এর দাওয়াত ও তাবলীগেরই কাজ করে দিল। তারা যদি এ রকম না করত, তাহলে অনেকে হয়তো রাসূলে মাকবুল (সাঃ) সম্পর্কে কোনো কথাই শুনত না, জানত না।কিন্তু তাদের এ প্রচেষ্টা প্রত্যেকটি লোককেই  মহানবীর প্রতি আকৃষ্ট করে তুলল।

১. জাহিলিয়াতের যুগেও হজের প্রচলন ছিল। মক্কার মুশরিকরাও হজ্ব করত, তবে তা তাদের মনগড়া বাতিল পন্থায় করত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: দয়া করে কপি করা থেকে বিরত থাকুন, ধন্যবাদ।