(২)
পৃথিবীর বৃহৎ ধর্মগুলো তখন হয়ে পড়েছিলো ধর্মজীবী ও ধর্মবণিকদের স্বেচ্ছাচার ও প্রবৃত্তিপরতার শিকার। পদে পদে চলছিলো ধর্মের বিকৃতি ও অপব্যাখ্যা। এভাবে একসময় প্রতিটি ধর্ম হারিয়ে ফেলে তার আসল আকৃতি ও প্রকৃতি। অবস্থা এত দূর গড়িয়েছিলো যে, যদি ধর্মের আদিপুরুষদের কোনভাবে ফিরে আসা সম্ভব হতো তাহলে নিজেদের রেখে যাওয়া ধর্ম তাঁরাও চিনতে পারতেন না। বিভিন্ন সভ্যতা ও সংস্কৃতি এবং ক্ষমতা ও শক্তির কেন্দ্রগুলো হযে পড়েছিলো শোষণ-নিপীড়ন এবং চরম অরাজগতা ও নৈরাজ্যের শিকার। তারা ব্যতিব্যস্ত ছিলো শুধু নিজেদের নিয়েই। বিশ্ব ও বিশ্বের জাতিবর্গের জন্য তাদের কাছে কোন বাণী ও বার্তা ছিলো না। কারণ নীতি ও নৈতিকতা এবং আত্মা ও আত্মিকতার দিক থেকে তারা হয়ে পড়েছিলো একেবারে দেউলিয়া। তাদের জীবন-নির্ঝর হয়ে পড়েছিলো বিশুষ্ক। ফলে তাদের নিজেদেরই জাতীয় সত্তার ছিলোনা কোন প্রাণ-সজীবতা। তো অন্যকোন জাতিকে তারা কিভাবে যোগাবে প্রাণের সজীবতা এবং আত্মার শক্তি! তাদের কাছে না ছিলো আসমানী দ্বীনের কোন স্বচ্ছ ধানা, না ছিলো মানুষের তৈরী কোন সংহত শাসনব্যবস্থা।