ইবাদত জীবনের লক্ষ্য হওয়ার দুটি প্রমাণ:

\"\"

পূর্বের আলোচনা দ্বারা একথা দিবালোকের মত স্পষ্ট হলো যে, উল্লিখিত সামগ্রী জীবনের লক্ষ্য নয়। যেগুলো কেবল জীবন যাপনের মাধ্যম। মাধ্যম বা উপকরণ ছিনিয়ে নেয়া যায়। কিন্তু মাকসাদ বা উদ্দেশ্যকে ছিনিয়ে নেয়া যায় না। এগুলো যেহেতু ছিনিয়ে নেয়া যায় তাই এগুলো আমাদের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নয়। এটাই প্রমাণ করে যে, ইবাদতই হলো আমাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য। কেননা তা ছিনিয়ে নেয়া যায় না।

ইবাদত উদ্দেশ্য হওয়ার দ্বিতীয় প্রমাণ হলো, আল্লাহর নাম নেয়া জীবনের লক্ষ্য হওয়ার কারণে মানুষের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আল্লাহর নাম জপতে আল্লাহ পাক সমর্থ দান করেন। অথচ ষাট, সত্তর বছর বয়সেই বহু শক্তি নিঃশেষ হয়ে যায়।

لینےدینےپرڈالوخاک کرومحبت پاک

আদান-প্রদানের প্রতি মারো খাত * ভালবাসার পাত্র কেবল আল্লাহ পাক

বন্ধুগণ! শেষ বয়সে আল্লাহর নাম নেয়া ছাড়া সকল শক্তিরই সমাপ্তি ঘটে। এমনকি অনেক মানুষ বধির হয়ে যায়। কিন্তু তার জিহবা নড়তেই থাকে। যে ব্যক্তি আল্লাহর নাম নিতে অভ্যস্ত সে আল্লাহর নাম জপতেই থাকে। এটাই প্রমাণ করে যে, ইবাদতই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য অন্য কিছু নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Discover more from Islamic History

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading