আমি প্রথমে যেই দুটি আয়াত তেলাওয়াত করেছি তার দ্বারা একথা প্রতিভাত হয়েছে যে, আমাদের জীবনের লক্ষ্য হলো তাকওয়া অর্থাৎ আল্লাহর বন্ধুত্ব অর্জন। যা ইবাদত বলে গণ্য। আর আমাদের ঘর-বাড়ী, সন্তান-সন্তুতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, টাকা-পয়সা ইত্যাদি মৃত্যুর সময় রেখে দেয়া হয় এবং কাফন পরে পরপারে পাড়ি জমাতে হয়।
বন্ধুগণ! এর দ্বারা একথা বুঝতে পারলাম যে, দুনিয়ার আসবাব-পত্র আমাদের জীবনের টার্গেট নয়। অন্যথায় আল্লাহ তায়ারা পরমান, আমি তোমাদের জীবনের লক্ষ্য বর্ণনা করে দিয়েছি। আর আজ তোমরা দুনিয়ার ভালবাসায় জড়িয়ে আমাকে ভূলে গেছ। আমি তোমাদেরকে ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি। আর তোমরা দুনিয়ায় সুন্দরীদের ফাঁদে পড়ে আছ। আমার বন্দেগী ছেড়ে ধ্বংসাত্মক গান্দেগীর পিছনে লেগে আছ। এর হিসাব তোমাদেরকে দিতে হবে।
যদি আমি কোরআনে কারীমে সৃষ্টির উদ্দেশ্য সম্পর্কে বর্ণনা না দিতাম তাহলে তোমাদের একথা বলার অবকাশ ছিল যে, হে আল্লাহ! আপনি তো আমাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য বলে দেন নি। কুরআন তার ভাষায় বলছে
وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ
আমি মানব ও জ্বীন জাতিকে কেবল আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি
উপরোক্ত আলোচনা হতে একথারই প্রমাণ মিলে যে, আল্লাহ আমাদেরকে ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। ইবাদতই আমাদের জীবনের লক্ষ্য। ইবাদতই আল্লাহর কাছে যাবে। তাই এটাই জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত।