আমি পূর্বেই বর্ণনা করে এসেছি যে, ওলী হওয়ার জন্য আল্লাহর ওলীদের সংস্পর্শে যেতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে লক্ষণীয় হলো, যার সাথে সম্পর্ক ও মুনাসাবাত গড়ে উঠে তারই সুহবত লাভ করতে হবে। আমাদের এ শহরে (পাকিস্তান) মুফতী রশীদ আহমদ লুধিয়ানভী সাহেব বড়দের একজন। যিনি মাও. রফী উসমানী ও মুফতী তক্বী উসমানী এর বুখারী শরীফের উস্তাদ। তাহলে অনুমান করুন কত বড় আলেম তিনি। তার সাথে আপনার মুনাসাবাত হলে তাঁর কাছে যান। মাওলানা তক্বী উসমানী, মাওলানা রফী উসমানী, মাওলানা সাহবান মাহমুদ ও মাও. ইউছুফ লুধিয়ানভী এরা সবাই খেলাফত প্রাপ্ত। তাদের কারো সাথে আপনার সম্পর্ক হলে তার সুহবত লাভ করুন। যেখানেই আপনার গ্রুপ মিলবে সেখানেই যেতে হবে। যার তার রক্ত গ্রহণ করা যাবে না। মুহাম্মদ আলী কে শক্তিশালী বলেই তার সাথে রক্তের গ্রুপ না মিলিয়ে তার রক্ত গ্রহণ করা যাবে না; বরং প্রথমত দেখতে হবে আপনার গ্রুপের সাথে তার রক্তের মিল আছে কিনা? যখন গ্রুপ মিলবে তখন রক্ত নেয়া যাবে।
ঠিক এমনিভাবে মুনাসাবাত ছাড়া মুরিদ হওয়া যাবে না। তাইতো আমাদের দাদাপীর হযরত আশরাফ আলী থানভী (রহ.) বলতেন, যেখানে তোমার মুনাসাবাত হবে, সেখানেই তোমার ফায়দা হবে।
বন্ধুগণ! যদি তোমরা মুনাসাবাত ছাড়া তাড়াহুড়া করে বায়আত হও তাহলে তোমাদেরকে আমার এই কবিতা পড়তে হবে,
آنکھ سے آنکھ ملی دل سے مگر دل نہ ملا
عمر بہرناؤپہ بیٹھےرھے ساحل نہ ملا
চোখ জুড়েছে মন জুড়েনি * লাভ কী তাতে বল
কাটলো জীবন নৌকাতে হায়! * তীর না দেখা হলো।