আমরা নিজেদের রেজিস্টারে নিজ কর্মগুলো দেখতে পাব। নির্জনতা ও একাকীত্বের মাঝে যা করেছি তাও দেখতে পাব। মাও. রুমী (রহ.) কিয়ামতের নকশা আঁকতে গিয়ে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাক্ষ্যে কথা চমকপ্রদ ভাবে তুলে ধরেছেন-
সে দিন হাত বলবে,
\’হে খোদ! আমি এভা মালামাল চুরি করেছি\’।
ঠোঁট বলবে,
\’হে আল্লাহ! আমি অন্যায়ভাবে চুম্বন করেছি\’।
চোখ বলবে,
\’হে আল্লাহ! আমি হারামভাবে ইঙ্গিত করেছি\’।
কান বলবে,
\’হে আল্লাহ! সে আমার মাধ্যমে হারাম গান-বাজনা ও মন্দ কথাবার্তা শুনছে\’।
আর এরই প্রমাণ হলো কুরআনে কারীমের আয়াত,
الْيَوْمَ نَخْتِمُ عَلَى أَفْوَاهِهِمْ وَتُكَلِّمُنَا أَيْدِيهِمْ وَتَشْهَدُ أَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ
যার অর্থ হচ্ছে, \”আজ আমি তাদের মুখে মহর এঁটে দিব। তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে সাক্ষ্য দেবে\”। (সূরা ইয়াসিন, আয়াত ৬৫)
বন্ধুগণ! আজ আমরা যে সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে হারাম স্বাদ আস্বাদন করাচ্ছি কাল কিয়ামত দিবসে এসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোই আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে। তাহলে এটা কি আমাদের বুদ্ধির পরিচায়ক হলো? তাই আসুন আমরা এর থেকে বেঁচে থাকার দৃঢ় সংকল্প করি এবং খাঁটি মনে তাওবা করি। আল্লাহ তা\’য়ালা আমাদের গুনাহকে মাফ করে আমলনামা নেকী দিয়ে ভরপুর করে দিবেন।