ওলী ও মুত্তাকী হওয়ার প্রথম ব্যবস্থাপত্র হলো আল্লাহওয়ালাদের সংস্পর্শে থাকা।
یاایہاالذین ممنوا اتقوااللہ وکونوامع الصادقین
যা এই আয়াতের মাঝে বর্ণিত হয়েছে। আমার পীর ও মুর্শিদ শাহ আব্দুলগণী ফুলপরী (রহ.) বলতেন, হে আখতার! আম বিক্রেতা থেকে আম, গুড় বিক্রেতা থেকে গুড়, কাবাব বিক্রেতা থেকে কাবাব এবং কাপড় বিক্রেতা থেকে কাপড় পাওয়া যায়। এমনিভাবে আল্লাহ ওয়ালাদের কাছে গেলে আল্লাহকে পাওয়া যায়। শুধু কিতাব পড়ে আল্লাহকে পাওয়া যায় না। যদি তুমি গুড় বিক্রেতার কাছে কাপড় আর কাপড় বিক্রেতার কাছে গুড় ক্রয় করতে যাও তাহলে তোমাকে পাগল ছাড়া আর কী বলা হবে?
অতএব, আমাদের জন্য উচিত হলো আল্লাহওয়ালাদের কাছে আল্লাহর সন্ধান করা।
বন্ধগণ! আমরা ঠিকই কাপড় বিক্রেতার কাছে কাপড় আর গুড় বিক্রেতার কাছে গুড় চেয়ে থাকি। কিন্তু আমরা আল্লাহ ওয়ালাদের কাছে আল্লাহর সন্ধান করি না। আমরা তাদের কাছে তাবিজ চাই। হায় আফসোস! আল্লাহর ওলীগণ শুধু তোমাদেরকে তাবিজ-কবজ দেয়ার জন্যই কি? তোমরা আল্লাহওয়ালার নিকট থেকে আল্লাহকে হাসিল না করলে তোমরা তার সম্মান করলে না এবং তাঁর মর্যাদা দিলে না।
তাই থানভী (রহ.) এর অন্যতম খলীফা ডাক্তার আব্দুল হাই সাহেব (রহ.) এই কবিতাটি পড়তেন,
ان سے ملنے کی ہے یہی اک راہ
ملنے والوں سے راہ پیداکر
আল্লাহকে পাওয়ার আছে একটিই পথ,
আল্লাহওয়ালার সোহবতে যেতে কোর না অমত
অর্থাৎ আল্লাহকে পেতে হলে আল্লাহওয়ালাদের সাথে সম্পর্কে গড়ে তুলতে হবে এবং সাথে সাথে তাকে মুখলিছ হতে হবে এবং সাথে সাথে তাকে মুখলিছ হতে হবে। মোরগ খাওয়ার আশায় আল্লাহর ওলীগণের সাথে থাকা যাবে না।