(৩)
খৃষ্টধর্ম তখন হয়ে পড়েছিলো বিক্ষিপ্ত কিছু চিন্তা-বিশ্বাস ও আচার-সংস্কারের সমষ্টি, যাতে না ছিলো রূহ ও আত্মার প্রয়োজনীয় খাদ্য, পুষ্টি; না ছিলো আকল- বুদ্ধি এবং ভাব ও আবেগের চাহিদা পূরণের পর্যাপ্ত উপকরণ। এগুলো না পেরেছে জীবনের জটিল গ্রন্থি উম্মোচন করতে, না পেরেছে জাতি ও সভ্যতার চলার পথ আলোকিত করতে; বরং মূর্খ ধর্মনেতা ও ধূর্ত ধর্মবণিকদের লাগাতার হস্তক্ষেপের ফলে একসময় তা হয়ে পড়েছিলো জ্ঞান ও বিজ্ঞানের প্রতিপক্ষ, হয়ে পড়েছিলো মানুষ এবং তার মুক্তবুদ্ধি ও সুস্থ্য চিন্তার মাঝে অন্তরায়। এমনকি বহু শতাব্দীর ধারাপ্রবাহে একসময় তা হয়ে পড়ে নিছক প্রতমানির্ভর একটি ধর্ম। পবিত্র কোরআনের ইংরেজী অনুবাদক শেল খৃষ্টীয় ষষ্ঠ শতকের নাছারাদের সম্পর্কে বলেন-
\’ধর্মজাযকদের পূজা এবং খৃষ্টের ছবি ও প্রতিমান উপাসনা করার ক্ষেত্রে খৃষ্টসম্প্রদায় বড় সীমাছাড়া হয়ে পড়েছিলো, এমনকি এ যুগের ক্যাথলিকদেরও ছাড়িয়ে গিয়েছিলো।\’ ¹